ভিডিও দেখতে নিচে যান:
কুরুলাস উসমান ভলিউম ১০৫ রিভিউঃ
ভলিউম এর শুরুতে আমারা দেখতে পাই ওসমান বে খনির ভিতরে আর তার আহত আল্পদের খুঁজে বেড় করে এবং এখান থেকে বেড় হওয়ার পথ খুঁজে। ওলোফ মনে করে যে ওসমান বে বিস্ফোরণে মারা গেছে এবং সে খুব খুশি হয়। এরপর দেখা যায় ওলোফ তার কয়েকজন সৈন্যকে ওসমান বে বেঁচে আছে কিনা তা কনফার্ম হওয়ার জন্য খনির প্রবেশদ্বারে অপেক্ষা করতে বলে। ওসমান বে একে একে আহত আল্পদের জাগিয়ে তোলে। ওসমান বে তখন খনির প্রবেশদ্বারে পাথরগুলি সরানোর চেষ্টা করে কিন্তু ব্যর্থ হয়। ওসমান বে এর আগে যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল তা স্মরণ করে এবং বলে যে এই পরিস্থিতিটি খুব শীঘ্রই ঠিক হয়ে যাবে। আর অন্য দৃশ্যে দেখা যায় মালহুন হাতুন জানতে পারে যে ওসমান বে এখনও ফিরে আসেনি এবং বালা হাতুন কে তার সন্ধান করতে বলে। আর দেখা যায় আলাউদ্দিন তার বাবাকে নিয়ে খুব চিন্তিত। এবং এরপর দেখা যায় মালহুন হাতুন তখন সমস্ত বে'দের একটি সভায় আমন্ত্রণ জানায় এবং বলে যে ওরহান বে এখন দায়িত্বে রয়েছে। বালা হাতুন এবং আলাউদ্দিন বে মালহুন হাতুন এর প্রস্তাব মেনে নেয়। মার্তা পড়ার নতুন কাপড় নিয়ে আসে।
আর এখানেই আমাদের প্রথম সিন শেষ হয়। আমারা বুঝতে পারছি ওসমান বে এখন বড় বিপদে রয়েছে, এখন দেখা যাক ওসমান বে কীভাবে বেড় হয় এখান থেকে। আর ওলোফ বড় একটি পরিকল্পনা করেছে বুঝাই যাচ্ছে ওসমান বে কী ওই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে পারে কিনা? তা আমারা পরবর্তী সিনে দেখতে পাবো। তাহলে দেরি করব না সরাসরি চলে যাব ২য় সিনে।
আমরা ২য় সিনের প্রথম দৃশ্যে দেখতে পাই, মালহুন হাতুন মার্তাকে অপেক্ষা করতে বলে এবং বলে যে সে পরে তার সাথে কথা বলবে। আর দৃশ্যে দেখা যায় কান্তাকুজানুস, ওলোফ সঙ্গে দেখা করে। আর ওলোফ বলে যে,সে ওসমান বে খনিতেই মারা গেছে। কান্তকুজেনোস অত্যন্ত আনন্দিত হয় এবং সে জানতে পারেন যে সারকিস একজন গুপ্তচর। কান্তাকুজানুস ওলোফকে সতর্ক করে দিয়ে বলে যে ইয়েনেসেহির আক্রমণ করার সময় এসেছে। আর তখন দৃশ্যের পরিবর্তন হয় আমারা নতুন দৃশ্যে দেখতে পাই যে, মালহুন হাতুন সভার আগে তার ছেলের সাথে কথা বলে এবং তাকে খুব সতর্ক থাকতে বলে। ওরহান বে বলে যে সে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে আর সে এখন বড় হয়েছে, কিন্তু মালহুন হাতুন তার ছেলেকে আবার সতর্ক করে দেয়। আর তখন অন্য দৃশ্যে আমরা দেখতে পাই, কুমরাল আবদাল খনিতে এসেছে এবং প্রবেশদ্বারে পাথরগুলি সরাতে ওসমান বে'কে সাহায্য করে। আবার ও দৃশ্যের পরিবর্তন হয় আমরা আরেকটি দৃশ্যে দেখতে পাই যে, বালা হাতুন আল্পদের সাথে বনের মধ্যে রক্তের পথ অনুসরণ করে এবং শীঘ্রই খনিতে পৌঁছে যায়। আর তখন অন্য দৃশ্যে দেখা যায় কুমরাল আবদাল তৎক্ষণাৎ খনি থেকে বেরিয়ে আসা আহত আল্পদের সাহায্য করে। এবং এর পর দেখা যায় বালা হাতুন ওসমান বে কে খুঁজে পায়। ওসমান বে জিজ্ঞেস করে, শহরে কী হচ্ছে। বালা হাতুন বলে যে ওরহান এখন বে হমেছে এবং সে একটি সভা করছে।
আর এখানেই আমাদের ২য় সিন শেষ হয়। আমরা বুঝতে পারছি যে,ওলোফ আর কান্তাকুজানুস মিলে ইয়েনেশেহির আক্রমন করবে। আর এখন আমরা এই সিনে জানতে পারলাম, ওসমান বে এবং সকল আল্প বেঁচে আছে। তাহলে দেখা যাক কী হয়? আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে রাখি। আপনি রিভিউ পড়ে সম্পূর্ণ মজা পাবেন না তাই এখনি নিচে যান। এবং সাবটাইটেল দেখে নিন।
আমরা ৩য় সিনের প্রথমে দেখতে পাই যে, ওসমান বে বলে যে সে মালহুন হাতুন কে একটি গোপন বার্তা পাঠাবে এবং তিনি মারমারাজিক দূর্গে আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত হবে। বালা হাতুন তার ওসমান বে'র পরিকল্পনা বুঝতে পারে না। এরপর ওসমান বে বলে যে ওলোফ পুরো দল নিয়ে ইনেশেহির আক্রমণ করবে এবং তারা এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তারা দুর্গটি জয় করবে। আর তখন দৃশ্যের পরিবর্তন হয় আমরা দেখতে পাই, ফ্রিগ বলেছে যে মালহুন হাতুন ভয় পেতে শুরু করেছে এবং ইনেশেহির কী ঘটছে। ওলোফ ফ্রিগকে আরও তথ্য আনতে বলে। আর তখন অন্য দৃশ্যে দেখি, ওসমান বে বলেছ যে সে বসতিতে যাবে এবং সেখান থেকে আল্পদের আক্রমণ করার জন্য নিয়ে যাবে। আর তখন দৃশ্যের পরিবর্তন হয় আমরা ইনেশেহিরিতে দেখতে পাই যে, কিছু বে'রা যারা সভায় আসে তারা একটি ছোট শিশু প্রধান হওয়ায় খুব অস্বস্তিবোধ করেন। আর তখন ওরান বে অল্প সময়ের পরে সভায় আসে এবং বে"দের তথ্য দিতে বলে। আর তখন বায়েন্দির বে জিজ্ঞেস করে, ওসমান বে কোথায়? ওরহান বলে যে ওসমান বে একটি কাজে গিয়েছে। বান্দির বে পরিস্থিতি বুঝতে পারে এবং অস্থির বে'দের শান্ত করে। বৈঠক শেষ হওয়ার পরে, মার্তা বাইন্দির বে'র সাথে কথা বলতে যায় এবং বলে যে সে তার সাথে মারমারাজিক কাছে পণ্য বিক্রি করতে চায়।
আর এখানেই আমাদের ৩য় সিন শেষ হয়। আমরা বুঝতে পারছি ওসমান বে ওলোফ এর সাথে একটি বড় গেম খেলতে চলছে। তাহলে দেখাই যাক কী হয়? যতই সামনে যাচ্ছি ততই ভলিউম আর আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে।
আর আমরা ৪র্থ সিনের প্রথমে দেখতে পাই যে, এই প্রস্তাবে বায়ন্দির বে কিছুটা অবাক হলেও তা পরে গ্রহণ করে। মার্তা ওসমান বে'র সম্পর্কে কিছু জানার চেষ্টা করে। আর অন্য দৃশ্যে দেখা যায় ওসমান বে বসতির পথে থামে এবং তার গুপ্তচরদের সাথে কথা বলে। গুপ্তচররা বলছে যে ওলোফ সৈন্যদের একটি বিশাল আক্রমণ শুরু করার জন্য দুর্গ থেকে বের করে দিয়েছে। ওসমান বে একটি আক্রমণ পরিকল্পনা করে এবং বসতির দিকে অগ্রসর হতে থাকে। বেইন্দির বে মারমারাজিক দূর্গে বাণিজ্য করার জন্য মালহুন হাতুন এর কাছ থেকে অনুমতি পায়। আর অন্য দৃশ্যে দেখা যায় যে আকতেমুর বে বলেছে যে সে আলচিচেক হাতুন এর সাথে একা কথা বলতে চায় এবং তাকে একটি রাস্তায় নিয়ে যায়। আর তখন আকতেমুর বে বলে যে তিনি আলচিচেক হাতুন কে ভালবাসে, তবে আলচিচেক হাতুন না বলে। আলচিচেক হাতুন বলে যে সে আকতেমুর বে'কে ভালবাসে না। আর দেখা যায় বাইন্দির বে লুকিয়ে রাস্তায় সব কথা শোনে। এবং দৃশ্যের পরিবর্তন হয় আমরা নতুন দৃশ্যে দেখতে পাই, ওসমান বে সেই রাতে তাঁবুতে তার নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি সম্পর্কে চিন্তা করে এবং আশায় পূর্ণ হয়। অন্য দৃশ্যে দেখা যায় কুমরাল আবদাল, আহত আল্পদের সাহায্য করার চেষ্টা করে। চেরকুতাই বলেছে যে তার কান এখনও শুনতে পায় না এবং ওলগেন হাতুন যে খাবার তৈরি করেছে তা খেতে শুরু করে।
আর আমরা ৫ম সিনে দেখতে পাই ,ফ্রিগ, কান্তাকুজানুস এবং ওলোফকে বলে যে কীভাবে ইনেশেহির রে আক্রমণ করা যায়। ওলোফ বলেছে যে ফ্রিগের আরও সৈন্য দরকার এবং সে বলে যে সে সৈন্যদের শহরে প্রবেশ করবে। আর কান্তকুজেনোস এই আক্রমন এর পরিকল্পনা পছন্দ করে এবং বলেন যে সে আক্রমন এর আগে শহরে প্রবেশ করবে। আর অন্য দৃশ্যে দেখা যায় ওসমান বে তার আল্পদের গুপ্তচরদের কাছ থেকে পাওয়া মানচিত্রটি দেখায় এবং কীভাবে দুর্গটি আক্রমণ করবে তা বলে। আর ইনেশেহির এর দৃশ্যে দেখা যায় মালহুন হাতুন আকতেমুর বে'র সাথে কথা বলে এবং তার প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির কথা শোনে। আকতেমুর বে বলেছে যে তিনি শহরের ভিতরে এবং বাইরে প্রচুর আল্প রেখেছে। অন্য দৃশ্যে দেখা যা বাইন্দির বে বলে যে ওসমান বে গোপন ব্যবসা করছে এবং বেঙ্গি হাতুন কে উস্কে দিতে শুরু করে। ওক্তাম বে বাইন্দির বে'কে শান্ত থাকতে বলে। আর আরেক দৃশ্যে দেখা যায় আকতেমুর বে যখন আলচিচেক হাতুন এর কথা ভাবছে, তখন তার মা আসে। আকতেমুর বে বলে যে তার মায়ের আর চিন্তা করা উচিত নয়। আর অন্য দিকে দেখা যায় বেঙ্গি হাতুন বুঝতে পারে যে আলচিচেক হাতুন, আকতেমুর বে কে ভালোবাসে এবং তার উপর খুব রেগে যায়।
আর এখানেই আমাদের এই সিন শেষ হয়। আমরা বুঝতে পারছি ওলোফ একটা ধোক খেতে চলচে। যাই হোক আরেক দিকে আমাদের আকতেমুর বে'র মনে কষ্ট দিল আলচিচেক হাতুন তাহলে দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়? আমি আবারও বলছি রিভিউ পড়ে সম্পূর্ণ মজা পাবেন না তাই সম্পূর্ণ মজাটি পেতে এখনই নিচে যান এবং সাবটাইটেল দেখুন।
৬ষ্ট সিনে দেখা যায়, ওসমান বে পরের দিন সকালে বসতির আল্পদের নিয়ে গোপনে বের হয়। আর অন্য দৃশ্যে দেখা যায় আকতেমুর বে বলে, ইনেশেহির সম্পূর্ণ নিরাপদ। মালহুন হাতুন মার্টা কী করেছে তা জানার চেষ্টা করে। আর তখন অন্য দৃশ্যে দেখা যায় ওলোফ ইনেশেহির আক্রমণ করার আগে, সে তার সৈন্যদের উদ্দেশে একটি ভাষান দেয় এবং তাদের তুর্কিদের হত্যা করতে বলে। তখনই দৃশ্যের পরবির্তন হয় আমরা নতুন দৃশ্যে দেখতে পাই, কান্তকুজেনোস তখন মালহুন হাতুন এর সাথে কথা বলার জন্য ইনেশেহির যায়। আর অন্য দিকে বাইন্দির বে যখন ব্যবসা করার জন্য মারমারাজিক যাচ্ছে, তখনই ওসমান বে তাকে থামিয়ে দেয়। বায়েন্দির বে ওসমান বে কে জীবিত দেখে অবাক হয়ে যায়। ওসমান বে বাইন্দির বে কে বলে যে, তারা ঘোড়ায় টানা গাড়ি নিয়ে দুর্গে প্রবেশ করবে। আর আরেকটি দৃশ্যে দেখা যায় যে, বেঙ্গি হাতুষ বলে যে সে শহরে যাবে এবং ওসমান বে'র গোপন বিষয়গুলি সম্পর্কে জানবে। অন্য দৃশ্যে দেখা যায় দুর্গের রক্ষীরা যখন বাইন্দিরের জিনিসপত্র দেখতে চায়, আর তখনি ওসমান বে এবং তুর্কিরা আক্রমণ করতে শুরু করে। আর অন্য দিকে তুরগুত বে তার ভাইকে বাঁচাতে দুর্গের অন্ধকূপে যায়। আর দেখা যায় ওসমান বে বাইজেন্টাইন কমান্ডারের সাথে লড়াই করে এবং শীঘ্রই তাকে ধরে ফেলে। আর অন্য দৃশ্যে দেখা যায় ওলোফ কবুতরের মাধ্যমে খবর পায় যে, ওসমান বে দূর্গে আক্রমন করেছে।
আর এখানেই আমাদের ৬ষ্ট সিন শেষ হয়। আমরা বুঝতে পারছি ওসমান বে মারমারাজিক দূর্গ জয় করে ফেলবে। আর দেখা যাক কী করে ওলোফ! আর আমরা এখন রিভিউর শেষ দিকে চলে এসেছি তাই বলব সম্পূর্ণ ভলিউম এর মজা নিতে এখনি নিচে জান, আর সাবটাইটেল দেখে নিন।
আমরা সবশেষে সিনে দেখতে পাই ওলোফ তৎক্ষণাৎ তার পরিকল্পনা পরিবর্তন করে এবং ওসমান বে কে হত্যা করার জন্য দুর্গের দিকে যাত্রা শুরু করে। আর অন্য দৃশ্যে দেখা যায় তুরগুত বে এবং কনুর আল্প তুরাহান আল্প কে বাঁচায়। আর অন্য দিকে দেখা যায় যুদ্ধ শেষে বাইন্দির বে দুর্গটি জয় করার বিষয়ে বড়াই করতে শুরু করে। আর অন্য দিকে দেখা যায় বেঙ্গি হাতুন ইনৈশেহির এসেছে আর এসে বলে যে সে ওক্তাম বে কে খুঁজছে। আর তখন মালহুন হাতুষ বলেছে যে তিনি তার সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তখন বেঙ্গি হাচুন কথা বলতে থাকে এবং ওক্তাম বে'র প্রথম স্ত্রীর কথা বলতে শুরু করে। মালহুন হাতুন বলে যে, শীঘ্রই সব ঠিক হয়ে যাবে। আর অন্য দিকে দেখা যায় ফ্রিগ গুপ্তচরদের তার দোকানে নিয়ে আসে এবং তাদের হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে বলে। আর আরেক দৃশ্যে দেখা যায়, কানজাকুজেনোস ইনেশেহির আসে এবং বলে যে সে মালহুন হাতুন এর সাথে কথা বলতে চায়। আর অন্য দিকে দেখা যায়, আয়েসা হাতুন, মার্তার দোকানে আসে কিন্তু সেখানে কাউকে দেখতে পায় না। আর আরেক দৃশ্যে কান্তাকুজানুস জিজ্ঞাসা করে যে ওসমান বে কোথায়? মালহুন হাতুন বলে যে ওসমান মারমারাজিক দূর্গ জয় করেছে এবং এখন থেকে সেখানেই থাকবে। কান্তকুজেনোস হতবাক হয়ে যায়। আর আরেক দৃশ্যে দেখা যায়, ওসমান বে বন্দী ভাইকিংক কমান্ডারকে সবকিছু বলতে বলে। এবং সর্বশেষ দৃশ্যে দেখা যায় ওলোফ তার সৈন্যদের সাথে নিয়ে দূর্গে আবার আক্রমণ করার চেষ্টা করে, কিন্তু ওসমান বে তাদের ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়। আর এখানেই আমাদের আজকে রিভিউ সম্পূর্ণ হলো।